Tuesday, December 25, 2018

কয়েকটি চমৎকার উপায়ে উপভোগ করুন একাকিত্বকে

কোথাও ঘুরতে যেতে চাইলে, ভালো কোন রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে চাইলে কিংবা শপিংয়ে যেতে চাইলে  আপনি হয়তো কখনো কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন যখন আপনার কাছের বন্ধু যে সবসময় আপনার সাথে যেতো সে ব্যাস্ত আছে। তাই যেতে হলে একা যেতে হবে। কি করবেন এমন পরিস্থিতিতে?  এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলতে পারি যে, কারো সাথে  ঘুরতে যাওয়া, খেতে যাওয়া কিংবা শপিংয়ে যাওয়া অবশ্যই অনেক আনন্দের কিন্ত একা একা এসব করাটাও কিন্ত কোন অংশে  কম আনন্দের না যদি আপনি এই ব্যাপারটাকে উপভোগ করতে পারেন। আপনি কি জানেন একা একা নিজের সাথে সময় কাটালে নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়? জানা যায় নিজের দুর্বলতা আর সবলতা সম্পর্কে। আমাদের জীবনে অনেকেই আসে আবার চলে যায় আর দিনশেষে আমরা সবাই ই একা। তাহলে চলুন একা একা থেকেও কিভাবে জীবনটাকে  উপভোগ করা যায় সেটা নিয়ে আজ কথা বলা যাক।  

১. নিজেকে নিয়ে খুশি থাকুন

যখন কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যায় বা আমরা হারিয়ে ফেলি তখন থেকেই আমাদের খুশি থাকার ইচ্ছেটা কমে যায়। চার দেয়ালের মাঝে গুটিয়ে রাখতে চাই নিজেকে, কারো সঙ্গই তখন আর ভালো লাগে না।আর  এভাবেই একাকিত্বের চাদর আমাদেরকে মুড়িয়ে ফেলে, একাকিত্বে ভোগি আমরা। তখনই নিজেকে বুঝান যে আপনার হাসিখুশি থাকার নিয়ন্ত্রক শুধু আপনিই, আপনার হাসিখুশি থাকাটা কারো উপর নির্ভর করে না। হাসিখুশি থাকার জন্য আপনিই আপনার নিজের জন্য যথেষ্ট। আর যে নিজেকে নিয়ে নিজের জীবন উপভোগ করতে জানে সুখ কখনোই তার কাছ থেকে দুরে চলে যায়না।  

২. নিজেকে আবিষ্কার করুন

আমার স্যার একবার বলেছিলো, "মানুষ জানার জন্য পৃথিবী ছেড়ে চাঁদে পর্যন্ত গিয়েছে কিন্তু নিজেকেই সে জানে না, কোন কোন পরিস্থিতিতে তার নিজেকেই নিজের কাছে অচেনা মনে হয়, অন্যের দোষ খুজে কিন্তু নিজেরও যে দোষ আছে তা জানে না।" আসলেইতো তাই, না?  তাই একাকিত্বের সময়টা নিজেকে আবিষ্কার করার বিশাল একটা সুযোগ। আপনার নিজের দোষ-ত্রুটি, দুর্বলতা সম্পর্কে জানুন, আপনার ভালোলাগা-মন্দলাগা সম্পর্কে জানুন। আর সেই সাথে নিজের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার পদক্ষেপ নিন। যেমন হতে পারে আপনি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে ইতস্তত বোধ করেন সেটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করুন। 

৩. ধর্মীয় কাজে মনযোগ দিন 

আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন আপনার নিজের ধর্মিয় কাজে মনোযোগ দিলে সেটা আপনার মানষিক প্রশান্তি এনে দিনে। সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করুন। 

৪. ব্যায়াম করুন 
 
"স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল" এটা আমরা সবাই জানি। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সবকিছুই কেমন যেন মলিন মনে হয়। কোন কাজ করার প্রতি আগ্রহ আসে না,  কাজে অগ্রগতি আসে না। আর তাই ভালো থাকার জন্য  স্বাস্থের যত্ন নেয়া জরুরী। তাই অন্তত নিয়ম করে ত্রিশ মিনিট করে সপ্তাহে তিন দিন ব্যায়াম করা উচিত। এর জন্য আপনি সাইকেল চালাতে পারেন,  সাতার কটতে পারে অথবা জিমে যেতে পারেন। 

৫. বই পড়ুন 

একাকীত্ব  কাটানোর জন্য বই পড়া হতে পারে একটি ভালো মাধ্যম।  বই পড়লে যে  ভালো সময়ই কাটে শুধু তা নয়, বই পড়ার মাধ্যমে আপনার চিন্তাভাবনা উন্নত হবে, আপনি হতে পারবেন একজন আলোকিত মানুষ। বই মানুষের কল্পনা শক্তিকে উন্নত করে, ভাবনার দোয়ার খুলে দেয়। একটা বই লিখতে একজন লেখকের কয়েক মাস সময়, শ্রম আর মেধা বিনিয়োগ করতে হয় আর মাত্র কয়েক ঘন্টায় সেই বইটা আপনি পড়ে নিচ্ছেন, তার কয়েক মাসের পরিশ্রমের ফসল কয়েক ঘন্টায় আপনি আপনার মাথায় ঢুকিয়ে নিচ্ছেন! এভাবে কখনো ভেবে দেখেছেন? 

৬. মুভি দেখা বা গান শুনা

একা থাকলে প্রিয় কোন মুভি দেখে বা গান শোনে নিজেকে প্রফুল্ল রাখতে পারেন। আপনি যে ধরনের মুভি বা গান শুনতে পছন্দ করে  তাই শুনুন বা দেখুন। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখলে ভালো হবে তা হলো স্যাড গান বা মুভি না দেখা।  তাহলে  দেখা যাবে মুভি দেখে আপনি ইমোশনাল হয়ে আরো মন খারাপ করে বসে আছেন। সবচেয়ে ভালো হয় কমেডি মুভি দেখলে। মুভির হাস্যকর সব ঘঠনা আপনার মন ভালো করে দেবে জাদুর মতো। 

৭. নিজেই নিজের ভালো বন্ধু হোন

একজন মানুষ নিজেই তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু বা সবচেয়ে খারাপ শত্রু হয়ে যেতে পারে।  আর এটা নির্ভর করে তার নিজের উপর, সে নিজেকে কিভাবে পরিচালনা করবে তার উপর। সে নিজের মেধা, শ্রম আর সময়ের সঠিক ব্যবহার করে যেমন নিজেকে উন্নত করতে পারে অন্যদিকে নিজের এই মেধা,  শ্রম আর সময়ের অপব্যবহার করে নিজেকে ঠেলে দিতে পারে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। তাই নিজেই নিজের ভালো বন্ধু হোন, নিজেকে ভালোবাসুন। 

৮. নিজের পরিবারকে সময় দিন 

অনেক সময়ই দেখা যায় আমাদের জীবন থেকে কেউ হারিয়ে গেলে আমরা তার অভাববোধ করি, একা হয়ে যাই, কিন্তু যারা সবসময় আমাদের পাশে থাকে তাদেরকে যদি সঠিক সময় দেই তাহলে একাকীত্ব বোধ কিছু হলেও লাঘব হয়। আর তাই নিজের পরিবারকে সময় দিন। 
হিউম্যান সাইকোলজি অনুযায়ী কেউ যখন তার মায়ের সাথে কথা বলে তখন তার শরীরে একধরনের হরমোন নিঃসরণ হয় যা তাকে মানষিকভাবে চাঙ্গা করে তুলতে সহায়তা করে। আর পরিবারে ছোট বাচ্চা থাকলেতো কোন কথাই নেই। ছোট বাচ্চার নির্মল, নিষ্পাপ  হাসি কার না ভালো লাগে? বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করলে নিজের ভেতরের  বাচ্চামি বের হয়ে আসে, তখন মন খারাপ করে থাকে বা একাকীত্ব বোধ নিমিষেই উধাও হয়ে যাবে। 

৯. প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান 

প্রকৃতি সবসময়ই রহস্যময়। প্রকৃতি তার সৌন্দর্য্য দিয়ে সবসময়ই মানুষকে মুগ্ধ করে রাখে। আর আমাদের দেশের প্রকৃতির সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হয়ে কবি বলেছেন,

"এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি "

তাই প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত না করে প্রকৃতিকে উপভোগ করুন। প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান। 

১০. নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন

আপনি নিজেকে যখন কোন কাজের মধ্যে ব্যাস্ত রাখবেন তখন একাকীত্ব আপনাকে গ্রাস করার কোন সুযোগই পাবে না। আপনি নিজেকে ব্যাস্ত রাখার জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। যেমন, আপনার যদি শখ থাকে বাগান করার আপনি তাতে সময় দিতে পারেন। আর বর্তমানে ইন্টারনেট  আমাদেরকে কোন কিছু শিখাটা অনেক সহজ করে দিয়েছে। যেমন আপনি ইউটিউবে দেখে মজার কোন খাবার রান্না করা শিখতে পারেন, আপনার যদি আকিঝুকি করতে ভালো লাগে তাহলে  ড্রয়িং শিখতে পারেন, অনলাইনে যেকোন নতুন একটি ভাষা শিখতে পারেন। তাছাড়া লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ব্লগ লিখতে পারেন। 

১১. জমিয়ে রাখা কোন কাজ করে ফেলুন

অনেক সময় দেখা যায় কোন কাজ করবো করবো বলেও করা হচ্ছে না এমন হয়না? সেই জমে থাকা কাজটি তখন করে ফেলুন। 

১২. সমাজসেবা মূলক কার্যক্রমে যোগ দিন

দেশকে তুলনা করা হয় মায়ের সাথে। মা যেমন তার সন্তানকে স্নেহ-মমতা দিয়ে আগলে রাখে তেমনি দেশও মানুষকে তার আলো,বাতাস আর অন্যান্য সুবিধা দিয়ে বাচিয়ে রাখে। আর তাই দেশের মঙ্গলের  জন্য অবদান রাখতে পারাটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। আর এ জন্য আপনি কোন স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠনে যোগ দিতে পারেন। এতে একদিকে যেমন ঘুচে যাবে আপনার একাকীত্ব বোধ তেমনি অন্যদিকে আপনি পাবেন মানষিক প্রশান্তি। 


বিভিন্ন কারনে আমরা একাকীত্ব অনুভব করতে পারি  কিন্তু তাই বলে ঘরের কোন নিজেকে গুটিয়ে রাখাটা কখনোই একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। নিজেকে জানার সুযোগ বানান একাকিত্বকে। নিজেকে মেলে ধরুন আর উপভোগ করুন প্রতিটা মুহূর্তকে। 



Wednesday, September 19, 2018

নর্স মিথলজি অনুযায়ী আমাদের এই মহাবিশ্ব

নর্স মিথলজি অনুযায়ী আমাদের এই মহাবিশ্ব...

নর্স মিথলজি


মিথলজি পড়তে আমার কাছে খুব মজা লাগে। বিভিন্ন দেবদেবীর মজার মজার সব কাহিনী। গ্রিক মিথলজি পড়ার পর এখন পড়তেছি নিল গেইম্যানের নর্স মিথলজি। 

নর্স কারা? 

মধ্যাযুগের স্কেন্ডেনেভিয়া বা নরওয়ের অধিবাসীদের সাধারণত নর্স বলা হতো। 
নর্স মিথলজিতে অসংখ্য দেবদেবীর কথা বলা থাকলেও বেশির ভাগ কাহিনীই সর্বপিতা ওডিন, বজ্রদেবতা থর আর গ্রেট চালবাজ, সুদর্শন লোকিকে নিয়ে লেখা। 
চলুন দেখি  সৃষ্টির শুরুতে কেমন ছিলো আমাদের এই মহাবিশ্ব, 
নর্স মিথলজি অনুযায়ী সৃষ্টির শুরুতে নিফেলহাম বা উত্তর মেরুতে ছিলো এগারোটি বিষাক্ত নদী,  হুরগেল্মির নামক ঝর্ণা।  আর চারদিকে সবসময়ই ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকতো। 
আর মুসপেল বা দক্ষিন মেরুতে আগুন জ্বলতো সবসময়, গলিত লাভা খেলা করতো। মুসপেলের কিনারপ্রান্তের এক স্থলভাগে আগুনের তলোয়ার হাতে নিয়ে  দাঁড়িয়ে আছে সুর্ট। তার হাতেই ধ্বংস হবে পৃথিবী।  তার হাতের জ্বলন্ত তলোয়ার দিয়ে সে পুরো পৃথিবী একদিন ধ্বংস করে দিবে। 
এবার আসা যাক  দৈত্য আর দেবতাদের কিভাবে জন্ম হয়েছে সে বিষয়ে। 
ইমির নামক এক দৈত্যকে বলা হয় সকল দৈত্যের পুর্বপুরুষ তার থেকেই বাকি দৈত্যদের জন্ম হয় আর তার জন্ম হয়েছে গলে যাওয়া বরফ থেকে। এই গলে যাওয়া বরফ থেকে আধুমালা নামের এক শিংবিহীন গাভীরও জন্ম হয়। আর এই গাভীর দুধ খেয়ে বেড়ে উঠে ইমির। আর আধুমালা নামের সেই গাভী সারাদিন বরফ চাটতে চাটতে তার ভেতর থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে মানুষের আকৃতি আর এর নাম দেয়া হয় বুরি। বুরি নামের এই দেবতা হলো সকল দেবতার পুর্বপুরুষ। দৈত্যদের ভেতর থেকেই একজনকে  স্ত্রী হিসেবে বেছে নিলো বুরি আর জন্ম দিলো তাদের প্রথম ছেলে বোর। বোর আবার বিয়ে করে আরেক দৈত্য কন্যাকে আর তারা জন্ম দিলো ওডিন, ভিলি আর ভে নামের তিন ছেলে সন্তান। 

এবার আসি মহাবিশ্বের সৃষ্টি কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে। 
ওডিন, ভিলি আর ভে তিন ভাই সারাদিন ঘুরে, ফিরে খায় দায় কোন কাজ কর্ম নাই। কিন্তু এভাবে ফিলিং এলোন টাইপের জীবন কর কতদিন। আর তাই তারা একদিন চিন্তা করলো এভাবে আর কতদিন কিছু একটা করা দরকার। আর সেই "কিছু একটা করা দরকার" ভাবনা থেকেই তারা সিদ্ধান্ত নিলো তারা এই মহাবিশ্বের প্রানের বিকাশ ঘটাবে। কিন্তু বললেইতো আর প্রানের বিকাশ ঘটানো সম্ভব না এর জন্যতো একটা পরিবেশ চাই নাকি? আর তাই তারা তিন ভাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো তারা ইমির নামের দৈত্যকে হত্যা করবে। কেননা দৈত্য থাকলে প্রানের বিকাশ ঘটানো সম্ভব না। যেই কথা সেই কাজ। শুভদিন দেখে (যদিও তখন শুভ অশুভ বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিলো কিনা জানি না) তারা ইমিরকে হত্যা করলো। তিন ভাই শুধু ইমিরকে হত্যা করেই থেমে থাকে নি সুন্দরভাবে তার দেহের ব্যবচ্ছেদও করে ফেললো।  তারা ইমিরের চোখের পাপড়ি দিয়ে উচু এক দেয়াল বানিয়ে দিলো যাতে বাকি যে দৈত্য আছে তারা যেন প্রানীকুলের কোন ক্ষতি করতে না পারে। এ দেয়ালের ভেতরের প্রান্ত হচ্ছে মিডগার্ড, যেখানে মানুষের বসবাস। তিনভাই মিলে ইমিরের মাংস দিয়ে বানালো মাটি, হাড় দিয়ে বানালো পাহাড়-পর্বত আর দাত আর বাকি হাড়ের টুকরা দিয়ে বানালো নুড়ি পাথর, বালি, কঙ্কর। 
এবার আসা যাক মানুষ কিভাবে বানানো হয়েছিলো সে প্রসঙ্গে।  
নর্স মিথলজি

আমরা জানি বিজ্ঞান অনুযায়ী মানুষ এসেছে বানর থেকে আর আমরা যারা মুসলমান আছি তারা বিশ্বাস করি আমাদের আদি পিতামাতা হচ্ছেন আদম আর হাওয়া। আর নর্স মিথলজি অনুযায়ী মানুষ মানুষ তৈরী করা হয়েছে  অ্যাস আর এম্বার গাছের গুড়ি থেকে। দেবতারা এই দুটি গাছে গুড়ি মানুষের সমান করে কাটেন আর এরপর ওডিন এর মধ্যে জোরে শ্বাস নিয়ে প্রান দান করে, ভিলি তাদেরকে ইচ্ছাশক্তি, বুদ্ধিমত্তা আর চলার শক্তি দান করে আর ভে দান করে হাত, পা, চোখ, নাক, কান ইত্যাদি নানা অঙ্গ।  মানুষ তো বানানো হলো এবার এদের নাম দেয়ার পালা। দেবতারা মিলে অ্যাস গাছ থেকে বানানো পুরুষের নাম দিলেন অ্যাস্ক আর এম্বার গাছ থেকে বানানো নারীর নাম হলো এম্বলা। অ্যাস্ক আর এম্বলা হচ্ছে মানুষের আদি পিতামাতা। 

সবকিছুইতো তৈরী হলো এবার দরকার সবার জন্য বাসস্থান। কেননা দেবতা, মানুষ, দৈত্য সবইতো আর এক দুনিয়ায় থাকতে পারবে না। দেবতারা মিলে এরও সমাধান করে ফেললো। মহাবিশ্বের যেহেতু তখন জায়গার অভাব ছিলো না তাই প্রত্যেকের জন্য বানানো হলো নয়টি আলাদা আলাদা জগত। এগুলো হলো : 
 ১। এসগার্ড, ওডিনসহ সব এসির দেবতারা থাকে এখানে,
২। আলফহেইম, লাইট এলফদের বাসস্থান,
৩। নিডাভেলির, বামনেরা থাকে এখানে,
৪। মিডগার্ড, মানুষের বাসস্থান 
৫। জতুনহাইম, বরফ দৈত্যদের বাসস্থান,
৬। ভ্যানাহাইম, ভ্যানিরদের বাসস্থান,
৭। নিফেলহাম, অন্ধকার, কুয়াশাচ্ছন্ন এক জগৎ, 
৮। মুসপেল, আগ্নেয়গিরির জগৎ,
৯। হেল, যারা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব না দেখিয়েই মারা যায় তাদের পরবর্তীতে এখানে স্থান হয়। 
আর ইগড্রাসিল নামক একটি বিশাল অ্যাস গাছ এই নয়টি জগতকে ঘিরে রেখেছে।

এগুলোতো গেল বইয়ের প্রাথমিক কথাবার্তা।  সবচেয়ে মজার কাহিনীগুলো লেখা হয়েছে এরপরের অংশে। কিভাবে লোকির চালাকির মাধ্যমে থরের চুরি যাওয়া হাতুরি উদ্ধার হয় আর মহাসুন্দরী ফ্রেয়া বেচে যায় থ্রাইম নামক এক দানবকে বিয়ে করার হাত থেকে আর ওডিন কিভাবে দেবতাদের জন্য নিয়ে আসে কাব্যসুরা জানার জন্য পড়তে পারেন নীল গেইম্যানের এই অসাধারন বইটি। 
বি: দ্র: আমার কাছে মিথলজি অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো, সেই সোনার কাঠি রূপার কাঠি দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখা রাজকন্যার গল্পের মতো। সুতরাং আমার এই লেখায় দেব, দেবি আর মহাবিশ্ব সম্পর্কিত তথ্য পড়ে কেউ বিভ্রান্ত হবে না যে আমি এসব বিশ্বাস করি বা আপনাকেও বিশ্বাস করতে বলছি। আমি আগেই বলছি মিথলজি জানতে আমার কাছে ভালো লাগে তাই পড়ছি।
হ্যাপি রিডিং  :)

Saturday, August 11, 2018

Comment on 18th Century Contemporary Society Based on "The Rape of the Look"

"The Rape of the Lock" gives a complete and graphic picture of the 18th century. The poem is concerned with the contemporary society and presents a charming portrait of its features. Here Pope compared 18th-century aristocratic society with the "Rape of the Lock" where Lord Petre and Belinda are the representative figures of the society.

Belinda in the poem is a representative of the aristocratic ladies. She is the symbol of follies and frivolities of the ladies of the age. She sleeps till noon. Her lap- dog licks her face and awakes her. Generally, She likes the other aristocratic ladies of the 18th century is frustrated and yearns for sexual pleasure; keeps awake till late at night and with lap dog in the arms and sleeps till noon in the day.

The ladies of the time practiced coquetry(flirting). when Belinda sets out by boat on the river Thames for Hampton court palace, " every eye was fixed on her alone". She does not bestow any special favor on anybody but looks equally on all with a smiling face. Offers are often made to her, but she rejects them. she does not want to talk to those who make advances to her, but she does not express her unwillingness in an offensive manner. It is the proper technique of a coquette that she very often rejects her admirer but does not offend them.

The ladies of the 18th century in London has less importance to the important things. The death of husbands affected them only as much as their lap-dog! Or breaking of China jars. They considered the honor to be equal to nothing. The loss of chastity was no more serious than staining of brocades.

Whereas, men of the society were chiefly concerned with carrying on sexual adventures with fashion- frenzy coquettish ladies. Their love Letters were more sacred to them than the Bible. The adventures Baron builds an altar of love; it is built of twelve voluminous French romances and all the prizes gained did former love; and significantly, the fire at the altar is raised with the heaps of love letters that he had received.

Pope in the poem also demonstrates the picture of the judges and jury-men. In the afternoon when the sun declines in the western sky, the judges and jury begin to feel hungry. The judges pass death sentences quickly without studying the case properly. The members of the jury are in a hurry to leave the court in order to eat their dinner. They deliver a verdict of guilty ( death) against the accused without discussing the evidence given by witnesses.

Thus, in "The Rape of the Lock" Pope pictures the aristocratic life of London in his own day. It reflects the artificial age with all its outward splendor and inward emptiness. It was, says Lowell, a mirror in a drawing room, but it gave back a faithful image of society.

Sunday, July 15, 2018

যে বইগুলো ইংরেজিকে করবে সহজ

  যে বইগুলো ইংরেজিকে করবে সহজ!!










আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইংরেজিতে লেখা বই পড়তে ভয় পাই। এরপর যা হয়, আমারা সেই বইটার বাংলা অনুবাদ কিনে পড়ি। কিন্তু তাতে সবেচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হয় তা হলো, এই অনুবাদ পড়ে কখনোই আসল ইংরেজি বইয়ের মজা পাওয়া যায় না।  যারা কঠিন কঠিন শব্দ না জানার ভয় কিংবা দুর্বল শব্দ ভাণ্ডারের ভয়ে আসল ইংরেজি বই পড়া থেকে নিজেদের বঞ্চিত করছেন তাদের জন্য আজকের এই লেখা।

একম সহজ ইংরেজিতে লেখা অনেক বই আছে। প্রথমে সেগুলো দিয়ে শুরু করুন। এতে আপনার মাঝে কনফিডেন্স কাজ করবে যে আপনি পারবেন। এমন কিছু সহজ ইংরেজি বইয়ের লিস্ট দিচ্ছি যেগুলো আপনার ইংরেজিকে করে তুলবে মজার। 

১. Fantastic Mr. Fox
ইংরেজি শিশুতোষ লেখার অন্যতম পথিকৃৎ রোল্ড ডাহলের ছোটদের জন্য লেখা এই এই বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে চালাক  এক শিয়ালের বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা। ছোটদের জন্য লেখা সহজবোধ্য  এই বইটি ছোট বড় সবার জন্যই মজার একটি বই। 

২. Harry Potter and the Philosopher's Stone – J. K. Rawling
জে কে রাওলিং এর হ্যারি পটার সিরিজের নাম কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। আর এই সিরিজের প্রথম বই এটি। বইয়ের কাহিনি এগারো বছরের এক অবহেলিত বালক হ্যারিকে নিয়ে। যাদুর এক দুনিয়ার সন্ধান পাওয়া আর বন্ধুদের নিয়ে একের পর এক বাধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার চমৎকার কাহিনী লেখা এই বইটি। পড়ার সাথে সাথে হ্যারির সাথে তার জাদুর দুনিয়ায় পাঠক কখন যে হারিয়ে যাবেন বুঝতেই পারবেন না। 

৩. The Old Man and the Sea – Ernest Hemmingway
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের এই নোবেলজয়ী সৃষ্টির মূল চরিত্র এক বৃদ্ধ নাবিক। সান্তিয়াগো নামের এই বৃদ্ধ নাবিকের সাগরের বুকে সংগ্রাম করে টিকে থাকার লড়াই নিয়ে এগিয়ে গেছে বইয়ের কাহিনী। টানা ৮৪ দিন মাছ না পাওয়ার ফলে তার সহকারী কিশোর ম্যানোলিন তাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু এতেও তার মনোবল টলে না। বৃদ্ধ জেলে তার চেস্টা অব্যহত রেখে সাগরে পাড়ি জমায় তার পুরোনো ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে।
হেমিংওয়ের অত্যন্ত সহজ ভাষায় লেখা এই বইটি পড়তে পড়তে আপনার মন আপনাতেই হারিয়ে যাবে অকূল সাগরের জলরাশিততে। 

8. The Giver – Lois Lowry 
লইস লাওরির এই বইয়ের মূল চরিত্র এক কিশোর, নাম জোনাস।  জোনাস এমন এক সমাজে বাস করে, যেখানে প্রতিটার মানুষকেই অনেকগুলো নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। স্বাধীনতার কোন নামগন্ধ নেই এখানে। ছোট ছোট বাক্যে সাজানো অত্যন্ত সহজ ভাষায় লেখা এই বইটির কাহিনী প্রথম থেকেই মনোযোগ ধরে রাখে।

৫. Charlotte’s Web – E.B. White
এটি আরেকটি শিশুতোষ বই। ছোটদের জন্য লেখা হলেও এই বইটি ছোট বড় সবার কাছেই জনপ্রিয়।  এই বইয়ে এক ফুটে উঠেছে এক শূকরছানার প্রতি এক বাচ্চা মেয়েের ভালোবাসা আর বন্ধুত্ব।  

৬. Mieko and the Fifth Treasure – Eleanor Coerr
বইয়ের প্রধান চরিত্র হচ্ছে মেইকু। সে খুবই প্রতিভাবান একনজন ক্যালিওগ্রাফার। জাপানে এক বোমা হামলার সময় তার হাত মারাত্মকভাবে আহত হয়। এরপর সে তার দাদার বাড়িতে আসে থাকার জন্য। সে নতুন স্কুলে ভর্তি হয়, কিন্তু তার ক্লাশমেটারা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। এরইমাঝে ইয়োসি নামের এক ক্লাশমেটের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। ইয়োশির আন্টি মেইকুকে আবার তার রংতুলি নিয়ে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

৭. The Alchemist – Paulo Coelho
পাউলো কোয়েলহোর বিখ্যাত এই বইটিকে আধুনিক ক্লাসিকের পর্যায়ে রাখা হয়। বইয়ের প্রধান চরিত্র হচ্ছে সান্তিয়াগো নামের এক রাখাল। সে শুধু দেশ ভ্রমনের জন্যই রাখাল হয়েছে। সে ছুটে চলেছে তার স্বপ্নের পথে, স্বপ্নে দেখা গুপ্তধন সন্ধানের পথে। তাই এই অভিযানে তার সাথে দেখা হয় সলোমানের রাজার। সেই রাজা তাকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয় আর দেয় দুটি পাথর। তারই মাঝে সে এক প্রতারকের কবলে পড়ে সব হারিয়ে নিঃস হয়ে পড়ে। এতকিছুর পরেও সে তার স্বপ্নের কথা ভুলে না। এক ব্যবসায়ির এখানে কাজ করে আবার পাড়ি জমায় তার স্বপ্নের পথে। এরইমাঝে দেখা হয় আলকেমিস্টের সাথে। দৃঢ় মনোবাল আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ যেকোন অসাধ্যকেই যে সাধন করতে পারে এই ব্যাপারটিই পাউলো কোয়েলহো দেখিয়েছেন তার এই বইয়ের মাধ্যমে। সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা এই বইটি পড়ে পাঠক যেমন মজা পাবেন তেমনি পাবেন জীবনে সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।  

আনন্দের সাথে বই পড়া শুরু হোক এখন থেকেই। হ্যাপি রিডিং।



Wednesday, July 11, 2018

ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তিকর কয়েকটি ইংরেজি শব্দ- Most confusing Words In English



ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তিকর কয়েকটি ইংরেজি শব্দ!

Confusing English Words



ইংরেজি শিখা এবং জানার গুরুত্ব কতোটুকু আমরা সবাই জানি। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে বর্তমানে প্রায় সব সেক্টরেই এই ভাষার গুরুত্ব আকাশ ছুঁয়া! আমাদের অনেকের কাছে ইংরেজি বিষয়টা বেশ ভয়ের। কৌশল জানা থাকলে ইংরেজির অনেক কঠিন বিষয়বস্তুকে খুব সহজভাবে মাথায় ঢুকিয়ে নেয়া যায়। পড়তেও খুব অনন্দ লাগে। অার পড়ালেখায় এরকম অানন্দ পাওয়া মানেই ভয়কে জয় করা। 
আমার এই ব্লগে আমি আমার সর্বোচ্চ চেস্টা করবো সহজ এবং বাস্তব উদাহরণ দিয়ে প্রতিটা বিষয় সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক কিছু ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তিকর কয়েকটি ইংরেজি শব্দ!

1. Than / Then এই ছোট দুইটা শব্দ ৬০% মানুষ ভুল করে থাকে! আসুন দেখে নেই এখানে কাহিনী কি! 
Than - এই Than প্রধানত দুইটা বিষয়ের মধ্যে তুলনা করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। মনে করুন আপনার বন্ধু আপনার থেকে ছোট, এ ক্ষেত্রে আপনি বলতে পারবেন - My friend is younger 'than' me. আমার ভাই আমার থেকে ২ বছরের বড় - My Brother is elder 'than' me for 2 years! এই ধরনের তুলনা মুলক পার্থক্য বুঝাতে আমরা 'Than' ব্যবহার করবো।

Then- এই 'Then' অর্থ হচ্ছে 'পরে' মনে করেন আপনি এখন একটা কাজ করছেন, এবং কাজ করার পর কিছু একটা করতে যাচ্ছেন, বা করবেন। এই ক্ষেত্রে এই 'Then' ব্যবহৃত হয়।
যদি বলি,  হোমওয়ার্ক করার পর আমি ঘুমাতে যাই- After Completing my Homework 'then' I go to sleep! আমরা ঢাকা দুইদিন থেকে তারপর কক্সবাজার গিয়েছিলাম - We stayed ( Stay এর past form) 2 days in Dhaka 'then' we went to Coxbazar.

2.Beside/Besides
Beside মানে হচ্ছে 'ঠিক পাশে 'মনে করো তুমার বেস্ট ফ্রেন্ড ক্লাসে তুমার পাশে সব সময় বসে সেটাকে 'Beside' ব্যবহার করে লিখতে পারো। 

যেমন - My best friend sits beside me in the class!

'Besides' আবার Beside এর সাথে যখন একটা 's' যুক্ত হয়ে যায় তখন সেটার অর্থ কিন্তু পুরোপুরি পালটে যায়! কারণ 'Besides' অর্থ হচ্ছে 'তাছাড়া' আমরা কথার  মাঝে মাঝে এরকম কিছু বলি যেমন, যে একজন ভাল ছাত্র, 'তাছাড়া' সে ভালো ছবিও আঁকে! He is a very good student, besides he sings very well.
'Besides' এর পরিবর্তে আমরা'
Moreover, In Addition, Furthermore এগুলাও ব্যবহার করতে পারি।

3. Between/ Among 

Between - যখন আমরা কোন কিছু
দুই জন মানুষের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া বুঝাই, তখন 'Between' ব্যবহার করতে হবে, 'Between' মানেই হচ্ছে দুইটি বস্তু বা ঠিক দুইটি বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক হবে। যেমন - মেসি এবং রোনালদোর মধ্যে মেসি বেশি জনপ্রিয়! - Between Messi and Ronaldo, Messi is more popular! 
আমটি দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দাও! Divide the mango between two brothers! 
এভাবে যখন দুইটি বিষয়, বস্তু, বা প্রাণীর নিয়ে কথা হয় তখনই কেবল 'Between' হবে।

Among- Among ব্যবহার হবে শুধু মাত্র যখন আমরা দুইয়ের অধিক কোন কিছু বুঝাবো তখনি! 
যেমন - Divide the mangoes among the students. আমগুলা ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে ভাগ করে দাও! 

এই ক্লাসের সব গুলা ছাত্র - ছাত্রীদের মধ্যে রায়হান খুব মেধাবী - Among all the students of this class, Raihan is more brilliant.

4. Above / Over 

এই দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয় যখন আমরা
উপরের কোন বস্তুর স্থির এবং চলমান অবস্থা বর্ণনা করতে চাই তখন!
Over- মনে করো একটা কুকুর দেয়ালের উপর দিকে লাফ দিয়ে চলে গেলো, তার মানে  কুকুর উপর দিয়ে গেল তাও কিন্তু চলমান অবস্থা বিরাজমান ছিলো! যেমন - The Dog jumped over the wall. ( যখনই কোন কিছু উপর দিয়ে যাবে সাথে চলমান অবস্থা বিদ্যামান থাকবে তখনই আমরা 'Over' ব্যবহার করবো। 

Above.  হচ্ছে ঠিক উলটো! এ ক্ষেত্রে উপরের বস্তু গুলা একেবারেই স্থির থাকবে, কোন ধরনের গতিশীল অবস্থা থাকবে না। যেমন - The roof( ছাদ) is above our head. আমাদের মাথার উপর ছাদ বিদ্যামান এবং সেটা 'স্থির' অবস্থায়।
নোট- British English -এ প্রায় কথা বার্তায় Over এর ব্যবহার হয় যদিও সেখানে উপর বা নিচ নির্ভর কিছু থাকেনা। যেমন - Go Over there - সেখানে যাও, Come over here- এখানে আসো! আবার 'Over' অর্থ শেষ হওয়াও বুঝায়! যেমন আমদের সম্পর্ক আজ থেকে শেষ! - Our relation is over from today! সুতরাং, বিভিন্ন অবস্থা অনুযায়ী এগুলার ব্যবহার করতে হবে।

5. In/ Into /At

In & Into
অর্থ হচ্ছে ভিতরে কিন্তু দুইটার ব্যবহার প্রায় ভিন্ন!
In - যখন কোন কিছু Already ভিতরেই আছে এমন কিছু বুঝায়, তখন In বসে। যেমন - আমি ক্লসে ছিলাম, আমি আমার রুমের ভিতর ছিলাম - I was in the Classroom. I was in my Room. 

কিন্তু Into দ্বারা অন্য কিছু বুঝায় যদিও সেটা ভিতরে আসা বা ভিতরে ডুকা রিলেটেড কিছু। যেমন আমরা বলি, আমার চোখের দিকে তাকাও - Look into my eyes! Not look in my eyes! এই যায়গায় Into বলি কারণ আমি কাউকে( বাহিরের) আমার চোখের দিকে তাকাতে বলছি, বাইরে থেকে যখন ভিতরের দিকে একটা Action কাজ করবে তখন'ই আমরা Into ব্যবহার করবো। Look into the matter. বিষয়টির উপর তদন্ত করো।


At- কোন স্থান, সময়, কিংবা দক্ষতা বুঝাতে At বসে! যেমন- I was at Home yesterday. (স্থান), I go to sleep at 11. O clock. (সময়)
I am good at English (দক্ষতা)

Note- কোন বড় স্থানের/শহরের আগে In বসে,এবং সেই শহর বা স্থানের ছোট কোন পাড়া, বা মহল্লার আগে At বসে। যেমন- 
I Live in Sylhet, at Uposhohor.

6. To/ towards.

এটা বেশ মজার! আমরা মাঝে মাঝে বলি আমি বাজারে যাচ্ছি! ( নির্দিষ্ট ) এবং আমি বাজারের দিকে যাচ্ছি কিন্তু বাজারে যাচ্ছি না
( অনির্দিষ্ট) 

To - I am going to market ( Sure আমি মার্কেটেই যাচ্ছি

Towards - I am going towards the Market ( Not sure, আমি বাজারের দিকে যাচ্ছি তবে বাজারে নাও যেতে পারি।)

Suggetion :  এই শব্দগুলো চিরতরে মনে রাখার জন্য নিজের মতো করে বাক্য বানিয়ে অনুশীলন করতে হবে।


Author's Words - This is our very first Article! if you find this is precisely helpful then share it to the people you want them to know about!